নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়ায় র্যাব সদস্যদের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়েছে উচ্ছৃঙ্খল একদল গ্রামবাসী। অস্ত্র কারবারীদের ধরতে গেলে র্যাবের ওপর এই হামলা চালান তারা। এসময় কয়েকজন র্যাব সদস্য আহত হন। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে র্যাব ঘটনাস্থল থেকে একাধিক উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তিকে আটক করে। পরে তাদেরকে চকরিয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী রাস্তার মাথা থেকে একটু দক্ষিণে জনৈক নাজেম উদ্দিনের গ্যারেজের আশপাশে একদল অপরাধী অবস্থান নেয়। একইসময় র্যাব সদস্যরা অপরাধী ধরতে অভিযান শুরু করলে আশপাশের লোকজন তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে। এমনকি মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়েছে বলে চারিদিক থেকে লোকজন জড়ো করে। এসময় উভয়পক্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। একপর্যায়ে র্যাবের কয়েকজন আহত হলে তারা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে মনজুর আলম মনু ও নুরুল ইসলাম নামের দুজনকে আটক করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত অফিসার রিয়াফাত আজিম জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দুজনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এরা গুলিবিদ্ধ হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ভেন্ডিবাজার এলাকার মৃত নজির আহমদের ছেলে নুরুল আলম (৪০) ও একই এলাকার ছৈয়দ আহমদের ছেলে মো. ইসমাইল (১৭)।
র্যাব কক্সবাজার ক্যাম্পের ইনচার্জ মেজর মেহেদী হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘তালিকাভুক্ত অপরাধীকে ধরতে র্যাবের এই অভিযানে হামলা হয়েছে। হামলায় র্যাবের মেজর মেহেদী হাসানও আহত হয়েছেন।’ র্যাবের অভিযানের সময় কোনো কিছু উদ্ধার বা কেউ আটক হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘এখনো র্যাব লিখিতভাবে থানায় কোনো কিছুই জানায়নি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’
পাঠকের মতামত: